কুমিল্লা
সোমবার,৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
৮ ডিসেম্বর যেভাবে মুক্ত হয় কুমিল্লা শিক্ষার্থীরা পুরাতন ধাচের রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে : শিবির সভাপতি খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় কুমিল্লায় ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা

বছরে ১০ কোটি চারা উৎপাদন:

কুমিল্লার সমেষপুরে অর্ধ্বশত বছর ধরে কপি চাষ!

শীতকালীন লোভনীয় সব্জি ফুল ও বাধাঁকপি। কুমিল্লার বুড়িচংয়ের সমেষপুর গ্রামের কৃষকরা প্রায় অর্ধ্বশত বছর ধরে এর চারা উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছে। দিন দিন বাড়ছে এর উৎপাদন। অর্থনৈতিক ভাগ্য ফেরাচ্ছে কয়েক’শ পরিবারের। প্রতিবছর বর্ষার শেষ দিকে শুরু করে পুরো শীত মৌসুম এখানকার কৃষকরা উৎপাদন করছে কোটি কোটি কপি চারা। সারাদেশসহ পাশ্ববর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকেও অনেক চাষী এসে নিয়ে যাচ্ছে কপি চারা। এক্ষেত্রে বেসরকারী বীজ কোম্পানীগুলো কৃষকদের সহযোগীতা করলেও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে কোন সাহায্য সহযোগীতাই পাচ্ছেনা কৃষকরা। এদিকে বাজার মূল্য পাওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি।

আবুল হাশেম নামে এক চাষী জানান, কপি চারা উৎপাদনের জন্য প্রথমেই জমি বীজ রোপনের উপযুক্ত করে তুলতে হয়। এটাকে বীট বলা হয়। প্রতিটি বীটে বীজ রোপনের অল্প সময়েই চারা বিক্রির উপযুক্ত হয়ে উঠে। ভোর হওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা জমিতে এসে পড়েন। অনেকেই জমির পাশে ঘর বানিয়ে রাত যাপন করেন ঝড়-তুফান বা বৃষ্টি থেকে চারা নিরাপদ রাখতে। অনেকেই সারাদিন পরিচর্যা/বিক্রির পর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখে । মোটকথা সারাদিন জমি আর চারা পরিচর্যাসহ বিক্রিতে সময় কাটে কৃষকদের।

কপি চারা বিক্রেতারা জানান, বর্ষার পর থেকেই জমি পরিচর্যার কাজসহ চারা উৎপাদন শুরু হয়ে যায় সমেষপুর গ্রামে। প্রতিদিন চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর,ফেনী, বরিশাল ,খুলনা ,যশোহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানছাড়াও পাশ্ববর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্নস্থান থেকেও অনেকে এখানে এসে চারা কিনছে।

উনবিংশ শতাব্দির পঞ্চাশ দশকের তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় ও ঢাকা মোহামেডান ফুটবল দলের কৃতি খেলোয়াড় ময়নামতির হুমায়ুন কবীর (৮৫) জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছু আগ থেকে সমেষপুর গ্রামে পাহাড়ের ঢালে কৃষকদের বিভিন্ন তরিতরকারীর চারা উৎপাদন করতে দেখেছি। বর্তমানে প্রতি হাজার চারা এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ক্রেতাদের সমাগম যত বাড়তে থাকে দামও তখন বেশী থাকে। একসময় হাজার প্রতি চারা দেড় হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়। চাষীরা জানান,এখানকার কৃষকরা হাইব্রীড জাতের বীজের চারা বিক্রি করেন। চাষীরা জানান, কমপক্ষে ১’শত পরিবার কপি চারা উৎপাদন ও বিক্রির সাথে জড়িত। তিনি বলেন, হাজার হাজার বীট রয়েছে এখানে। প্রতিটি বীটে কমপক্ষে ৩হাজার চারা উৎপাদন হয়। এতে প্রতি মৌসুমে কয়েক কোটি চারা উৎপাদিত হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় কৃষকদের থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, সমেষপুর গ্রামের অনেক চাষীর রয়েছে ১’শ থেকে ১৫০ টি করে বীট। এখান থেকে প্রতিটি কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

আরও পড়ুন