কুমিল্লা
শুক্রবার,৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান নাঙ্গলকোটে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ওষধ বিতরণ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুবিতে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

‘রাজশাহী ৬০ রান করলেও আমি ওপেনিং নামতাম’

দুজনের কেউই নিয়মিত ওপেনার নন। দুজনই খেলে থাকেন লোয়ার অর্ডারে, ৮-৯ নম্বর পজিশনে। কিন্তু আজ (রবিবার) মুখোমুখি লড়াইয়ে দুজনই নেমে গিয়েছেন নিজ নিজ দলের হয়ে ইনিংসের সূচনা করতে। তবে সফল হননি কেউই, দুই অধিনায়কই ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।

বলা হচ্ছে রবিবার দুপুরে হওয়া বিপিএলের ১৩তম ম্যাচের কথা। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল রংপুর রাইডার্স এবং রাজশাহী কিংস। ম্যাচে টসে জেতে রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান রাজশাহীর অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজকে।

টসে হেরে বাঁহাতি মুমিনুল হককে নিয়ে ইনিংসের সূচনা করতে নেমে যান মিরাজ। এতে অবাক হওয়ার তেমন কিছু ছিলো না। কেননা তিনি আগের ম্যাচেও ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন, খেলেছিলেন ৩০ রানের ইনিংস। কিন্তু এ ম্যাচে মুখোমুখি প্রথম বলেই তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন মাশরাফি।

অবাক করার মতো ঘটনা ঘটে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে। ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি কিছু করতে না পারায় রংপুরের সামনে মাত্র ১৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় রাজশাহী। সবাইকে চমকে দিয়ে রান তাড়া করতে ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে যান মাশরাফি।

তিনিও ব্যর্থ হন রাজশাহী অধিনায়ক মিরাজের মতোই। তবে মিরাজ প্রথম বলেই আউট হলেও, মাশরাফি ফেরেন দ্বিতীয় বলে। রান করতে না পারলেও, প্রথমবারের মতো বড় কোনো মঞ্চে ওপেনিংয়ে নেমে সবাইকে চমকেই দিয়েছেন মাশরাফি।

লক্ষ্যটা তো তেমন বিশেষ কিছু ছিলো না, কিংবা রংপুর দলেও ছিলো না কোনো ইনজুরি সমস্যা। তাহলে কেনো এমন হুট করেই ইনিংস সূচনার সিদ্ধান্ত মাশরাফির? ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন এটি পূর্ব পরিকল্পিতই ছিলো। দলে আর কোনো ওপেনার না থাকাতেই তাকে নামতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজ কোনো ওপেনিং ব্যাটসম্যান নেইনি। হয় ফরহাদ রেজা, না হয় আমাকে যেতে হতো। যেহেতু ওদের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছিল তাই আমরা নাহিদকে দলে নিয়েছিলাম অফস্পিনার হিসেবে। তাই যেকোন একজনকে যেতে হতো ওপেনিংয়ে। পরে আমিই গিয়েছি।

এসময় মাশরাফি আরও জানান লক্ষ্য যদি ৬০ রানও হতো, তবুও তিনিই জেতেন ওপেনিংয়ে। এ বিষয়টিকে বড় করে না দেখে শেষপর্যন্ত জয় না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন মাশরাফি।

‘আসলে এটা বড় কোনো বিষয় না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ম্যাচ জেতা, যেটা আমরা করতে পারিনি। ১৩৬ রান করার জন্য আমাদের কাছে এনাফ ব্যাটসম্যান ছিল। কিন্তু কেউ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মিডল পার্টে আমরা কোনো জুটি করতে পারিনি। ১৩৬ করার জন্য উইকেটে এমন কোনো বিহেভ ছিল না যে ওটা করা যায় না। এখান থেকে আমাদেরকে কামব্যাক করতে হবে। আমরা আগের থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে ওরা ৬০ রান করলেও আমি ওপেনিংয়ে যাবো। আগের থেকে পরিকল্পনা।’

আরও পড়ুন