কুমিল্লা
রবিবার,৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
শিক্ষার্থীরা পুরাতন ধাচের রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে : শিবির সভাপতি খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় কুমিল্লায় ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান

‘কোনো মুসলমান মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে না’

ফাইল ছবি

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুসলমানদের অংশগ্রহণের বিষয়ে ফের মুখ খুললেন হেফাজতে ইসলামীর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি।

তিনি বলেছেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রার যে আয়োজন করা হয় তা ইসলামি শরিয়ত সমর্থন করে না। কোনো মুসলমান এ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে না।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এমন কথা বলেন শাহ আহমদ শফি।

ওই বার্তায় আহমদ শফি উল্লেখ করেন, ষোড়শ শতকে মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বর্তমানের যে বাংলা বর্ষপঞ্জি তৈরি হয় তা ফসল রোপণ এবং কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যেই করা হয়। হালখাতা, পিঠাপুলি বানানোর মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ যেভাবে উদযাপন হয়ে আসছিল। তবে এতে নতুন নতুন যেসব আয়োজন যোগ হচ্ছে তা যেমন ধর্মীয় বিধানাবলির বিপরীতে অবস্থান নেয়া হচ্ছে। একইভাবে আমাদের সংস্কৃতি হুমকিতে পড়ছে।

জাতীয়তার চেয়ে জাতিসত্তার পরিচয় বড় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শাহ আহমদ শফি বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেন, আমরা লক্ষ করছি এসব আয়োজনে ধীরে ধীরে যেভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটছে যা বাংলাদেশি মুসলমানদের জন্য কখনোই কল্যাণকর হবে না।

মানুষের জীবনের কল্যাণ ও মঙ্গল-অমঙ্গল সবকিছুই আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তাআলার হুকুমে হয়। পৃথিবীর সব বিশ্বাসীরা এটাই বিশ্বাস করেন। কোনো মূর্তি, ভাস্কর্য, পোস্টার, ফেস্টুন ও মুখোশে মঙ্গল-অমঙ্গল থাকতে পারে না। বাঘ, কুমির, বানর, পেঁচা, কাকাতুয়া, ময়ূর, দোয়েলসহ বিভিন্ন পশুপাখি মঙ্গল আনতে পারে না। এসব বিশ্বাস যেমন ইসলামি শরিয়তবিরোধী চেতনা তদ্রুপ এমন আধুনিক সময়ে মূর্তি-ভাস্কর্য ও জীবজন্তুর ছবিতে মঙ্গল-অমঙ্গল কামনা করা।

এটি একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধ্যান-ধারণাও বলে মন্তব্য করেন হেফাজত আমির।

আল্লামা শফী প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের সকালে বাদ্যযন্ত্রের তালে নানা ধরনের বাঁশ-কাগজের তৈরি মূর্তি, পেঁচার আকৃতি ও মুখোশ হাতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মাত্র ২৮ বছর আগ থেকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা কীভাবে সার্বজনীন বাঙালি উৎসব ও সংস্কৃতি হতে পারে?

তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা যারা আবেগের বশবর্তী হয়ে, ভুল ধারণায় প্ররোচিত হয়ে কিংবা বয়সের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও গানবাদ্যের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করো তারা নিজেদের বিরত রাখো। যৌবনকাল আল্লাহ তা’আলার প্রদত্ত সবচেয়ে বড় নেয়ামত। তোমাদের মূল্যবান সম্পদ ‘তারুণ্য’ যিনি দান করেছেন তার ইবাদতে ও তার সন্তুষ্টিতে তা কাজ লাগাও। জীবন সুন্দর হবে, আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।

মুসলিম জনতার উদ্দেশ্যে আল্লামা শফী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশে যেভাবে অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনা, ধর্ষণ ও পাপাচার বেড়ে চলছে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের উচিত মহান আল্লাহ তা’আলার কাছে তওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

তার ইবাদাতে মগ্ন হওয়া। নিজেদের আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জনে চেষ্টা-সাধনা করা। কারণ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি ও পরিশুদ্ধতা ছাড়া শুধু মানবরচিত আইনের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার গজব ও পাপাচার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব না।

আরও পড়ুন