কুমিল্লা
সোমবার,৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
৮ ডিসেম্বর যেভাবে মুক্ত হয় কুমিল্লা শিক্ষার্থীরা পুরাতন ধাচের রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে : শিবির সভাপতি খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় কুমিল্লায় ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা

ভুল চিকিৎসায় নাঙ্গলকোটে পা হারাচ্ছে স্কুল ছাত্রী রেশমা

প্রতীকী ছবি

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের তৃতীয় তলার ২৩ নাম্বার বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নাঙ্গলকোট উপজেলার শিশু রেশমা আক্তার (৮)। সে উপজেলার মক্রবপুর ইউপির টুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। সে টুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

এর আগে চার মাস ধরে চিকিৎসা করিয়েছেন, লাকসাম পৌর সদরের ইউনিটি ট্রমা এন্ড জেনারেল হসপিটালের ডা: শাহেদ আনেয়ার ভূঁইয়ার ভূল চিকিৎসা শিশুটির ডান পায়ে পচঁন ধরেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিশুর পরিবার।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিলে রাস্তা পার হতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় পায়ের গোড়ালীতে আঘাত পায় শিশুটি। ওইদিন শিশুটিকে ইউনিটি ট্রমা এন্ড জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করেন, তাঁকে চিকিৎসা দেন ডা: শাহেদ আনোয়ার ভূঁইয়া, তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন। তিনি মাস খানেক চিকিৎসার পর অপারেশন মাধ্যমে ভালো পা থেকে চামড়া নিয়ে দূর্ঘটনায় আগাত পাওয়া পায়ে চামড়া প্রতিস্থাপন করে। আরো একমাস চিকিৎসা দিতে থাকেন জোড়া না লেগে ধীরে ধীরে শিশুটির পায়ে পঁচন ধরে। চার মাসে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে সকল সহায় সম্ভল বিক্রি করে হাসপাতালে প্রায় দুই লাখ টাকা দেন শিশুটির পরিবার।

শিশুর মা নার্গিস আক্তার নতুন কুমিল্লাকে জানান, ডাক্তারের ভূল চিকিৎসার চার মাস পর রেশমার পায়ের অবস্থার অবনতি ঘটলে, এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় গত ১৮ আগষ্ট কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা: শাহেদ আনোয়ার ভূঁইয়া নতুন কুমিল্লাকে বলেন, আমি কুমিল্লার সেরা চিকিৎসক, আমার উপরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন ডাক্তার নাই। রেশমাকে কোথায় কখন নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা আমি জানি না।

রেশমার বর্তমান চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ডা: কাজী এমরান আহমেদ নতুন কুমিল্লাকে বলেন, রোগিকে সুস্থ করে তুলতে আরো অনেক সময় লাগবে।

এ বিষয়ে শনিবার কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা: মুজিবুর রহমান নতুন কুমিল্লাকে বলেন, এবিষয়ে শিশুর পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্ত ডাক্তার দোষি হলে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও পড়ুন