কুমিল্লা
শুক্রবার,৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান নাঙ্গলকোটে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ওষধ বিতরণ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুবিতে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

নতুন কুমিল্লায় সংবাদ প্রকাশের পর

লাকসাম রেলওয়ে জংশনে সেই স্টেশন মাস্টার জালালকে স্ট্যান্ড রিলিজ

ফাইল ছবি

নতুন কুমিল্লায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সেই দুর্নীতিবাজ স্টেশন মাস্টার মো. জালাল উদ্দিনকে তাৎক্ষণিকভাবে (স্ট্যান্ড রিলিজ) বদলি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে লাকসাম রেলওয়ে জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. ইকবাল হোসেন নতুন কুমিল্লাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্টেশন মাস্টার মো. জালাল উদ্দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গত ২৮ আগস্ট ‘লাকসাম রেলওয়ে জংশনে স্টেশন মাস্টার জালালের তুঘলকী কাণ্ড!’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ওই স্টেশন মাস্টারের এসব অপকর্ম নিয়ে লাকসাম স্টেশনসহ পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়েতে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এতে টনক নড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।

সর্বশেষ রবিবার রাতে স্টেশন মাস্টার মো. জালাল উদ্দিনকে তাৎক্ষণিকভাবে (স্ট্যান্ড রিলিজ) বদলি করা হয়। আজ সকালে তিনি লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. ইকবাল হোসেনের কাছে চলতি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।

সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. ইকবাল হোসেন নতুন কুমিল্লাকে বলেন, আমাকে আজকেই চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে নতুন স্টেশন মাস্টার যোগদান করবেন। আমরা জানতে পেরেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. কামরুল ইসলামকে লাকসামে স্টেশন মাস্টার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। আর লাকসাম থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া মো. জালাল উদ্দিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টেশন মাস্টার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল লাকসাম রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হিসেবে যোগদানের পর থেকে মো. জালাল উদ্দিন লাকসাম রেলওয়ে জংশনকে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেন। তিনি নিজেই রেলের বারোটা বাজাতে শুরু করেন। গড়ে তোলেন শক্তিশালী টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট।

ওই মাস্টারের আরো অপকর্মের মধ্যে ছিল সকাল ৮টায় বিক্রি শুরুর আধা ঘণ্টার পরই রেলের টিকিট কালোবাজারিতে চলে যেত। তিনি বিশ্রামাগার বন্ধ রেখে যাত্রীদের পাবলিক টয়লেটে যেতে বাধ্য করে সেখান থেকে মাসোহারা নিতেন। যাত্রীদের প্রদর্শন করা মনিটর বন্ধ রাখতেন, টিকিট কালোবাজারির কারণে বুকিং সহকারীরা কাউন্টারে থাকেন না। ওই মাস্টার পেনশনভোগীদের কাছ থেকে ‘ঘুষ’ আদায় করতেন। ভুয়া ভাউচারে প্রতি মাসে তেলের টাকা আত্মসাৎ করতেন। স্টেশনের দোকানদার ও হকারদের কাছ থেকে থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করতেন। বিভিন্ন ট্রেনে বুকিং ছাড়া মালামাল পাঠানোর চক্র গড়ে তোলেন।

এ ছাড়া তার সময় অপকর্ম এতোটাই বেড়ে গিয়েছিলো যে যার প্রমাণ এই স্টেশনে ট্রেন এলেও মাইকিং হতো না।

আরও পড়ুন…
লাকসাম রেলওয়ে জংশনে স্টেশন মাস্টার জালালের তুঘলকী কাণ্ড!

আরও পড়ুন