কুমিল্লা
শনিবার,১৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

লাকসামে ধর্ষণের অভিযোগে ভুয়া ডা. মীর হোসেন আটক

কুমিল্লার লাকসামে ধর্ষণের অভিযোগে কথিত ডিজিটাল ডাক্তার মীর হোসেনকে আটক করেছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার নামে চেম্বারে অসংখ্য মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লা র‌্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান যৌন উত্তেজক টেবলেট, কনডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্যসহ তাকে আটক করে।

আটক ডাক্তার মীর হোসেন লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক এবং
পৌর শহরের বাইনচাটিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের জংশন এলাকায় ‘ডিজিটাল হেলথ কেয়ারে’ কর্মরত জোসনা (ছদ্মনাম) চার মাস যাবত হেলথ সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলো। ওই হেলথ কেয়ারের মালিক ডাঃ মীর হোসেন চাকুরীর শুরু থেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু আমি চাকুরী রক্ষা এবং দরিদ্র পরিবারের জীবিকা নির্বাহের স্বার্থে সবকিছু সহ্য করে আসছিলাম।

এক পর্যায়ে ডাঃ মীর হোসেন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। গত চার মাসে সে আমাকে ৩০ বারের অধিক ধর্ষন করেছে। প্রতিবার ধর্ষণ করার পর সে আমার শরীরে ব্যথা নাশক অজ্ঞাত একটি ইনজেকশান পুশ করতো। ধর্ষণের পর মীর হোসেন আমাকে হুমকী ধমকি দেয় এবং এ কথা যদি কেউ জানতে পারে তাহলে আমাকে চাকুরিচ্যুত করে মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় দেখায়।

আমি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় তার এ নির্যাতন সহ্য করে আসছিলম। কিন্তু দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে গত সোমবার কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কথিত ডিজিটাল ডাক্তার মীর হোসেন একইভাবে তার চেম্বারে বহু তরুনীকে চাকুরি দেয়ার নাম করে সর্বনাশ করেছে। তার হুমকী ধমকীর কারণে কেউ মুখ খোলার সাহস করেনি।

এছাড়া ভুয়া ডাঃ মীর হোসেনকে বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানাসহ তার ডিজিটাল হেলথ কেয়ার বন্ধ করে দেয়া হয়। কিছু দিন পর আবার কৌশলে চেম্বার খুলে অপকর্ম শুরু করে থাকে।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কোম্পানী কমান্ডার প্রণব কুমার নতুন কুমিল্লা.কম-কে জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা লাকসাম ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক ভুয়া ডাক্তার মীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে যৌন উত্তেজক টেবলেট, বিপুল পরিমান কন্ডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়।

সে কোন ডাক্তার নয়। সে চাকুরী দেয়ার নামে এ চেম্বারে অসংখ্য মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। তাকে এবং তার চেম্বারে কর্মরত অপর এক মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন