কুমিল্লা
শুক্রবার,৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান নাঙ্গলকোটে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ওষধ বিতরণ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুবিতে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

লাকসামে নবাব ফয়েজুন্নেছার বাড়ি সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু

ভারতীয় উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নবাব মহিয়ষী নারি নবাব ফয়েজুন্নেছার বাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর। শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নবাব বাড়ির আঙ্গিনায় স্থায়ী নোটিশ বোর্ড স্থাপন করেন প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

স্থায়ী বোর্ড স্থাপন করেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান, সহকারী প্রত্নতত্ব প্রকৌশলী জাকির হোসেন চৌধুরী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সার্ভেয়ার জালাল আহমেদসহ ময়নামতি জাদুঘরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভূঁইয়া, লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদ সিদ্দিকী, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সাইফুল আলম, নারীনেত্রী জাহানারা বেগম, ফয়েজুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজাদ সরকার লিটন, লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রত্নতত্ব বিভাগের কর্মকর্তারা এ সময় সাংবাদিকদের জানান, পর্যায়ক্রমে ফয়জুন্নেছা এস্টেটের ভূমি চিহ্নিত করা হবে। এস্টেটের প্রায় সাড়ে ৪ একর এ ভূমিতে কেউ জবরদখল করে থাকলে আইনগতভাবে উচ্ছেদসহ বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যায়ক্রমে সংস্কারসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

পুরাকীর্তি হিসেবে উল্লেখ করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় স্থায়ী নোটিসে উল্লেখ করা হয়, ‘কোন ব্যক্তি এই পুরাকীর্তির কোন রকম ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে বা এর কোন বিকৃতি বা অংগচ্ছেদ ঘটালে বা এর কোন অংশের উপর কিছু লিখলে বা খোদাই করলে বা কোন চিহ্ন বা দাগ কাটলে, ১৯৬৮ সালের ১৪নং পুরাকীর্তি আইনের ১৯ ধারার অধীনে তিনি সর্বাধিক এক বৎসর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।’

এদিকে, লাকসামের ঐতিহ্যবাহী নবাব ফয়েজুন্নেছার বাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন লাকসামের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণ।

আরও পড়ুন