কুমিল্লা
সোমবার,৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
৮ ডিসেম্বর যেভাবে মুক্ত হয় কুমিল্লা শিক্ষার্থীরা পুরাতন ধাচের রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে : শিবির সভাপতি খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় কুমিল্লায় ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা

নাঙ্গলকোটে দুই শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহি ‘ঠান্ডাকালি’ মেলা

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের মোঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আজ সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুই শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহি শীতকালী ঠান্ডাকালি বাড়ির মেলা শুরু হয়েছে। কাক ডাকা ভোর থেকে শরু হয় ফে-ফো বাঁশির আওয়াজ, ঘুম ভাঙ্গে শিশু থেক শুরু করে সকল শ্রেণীর মানুষের। এটি চলবে রাত ৮ টা পর্যন্ত। প্রতি বছর মাঘ মাসের এক তারিখে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলা নিয়ে মানুষের মনে অনেক জল্পনাকল্পনা। নতুন জামাইদের বাড়িতে কে কত বড় মাছ পাঠাবে এ নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ জুড়ে আশপাশের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে মেলা বসেছে। সারি সারি দোকান। সাজানো হয়েছে রুই, কাতলা, চিতল, সিলবার কর্প, ব্লাডকার্প, বিগহেড, সুরমা, পোয়া, বোয়াল, পাবদা, কাইয়া, কোরাল, বাঘা আইড়সহ হরেক রকমের মাছের পরসা। এক কেজি থেকে শুরু করে ১৫ কেজি ওজনের মাছ ওঠেছে মেলায়। লোকজনও ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ। বাজার তুলনায় মাছের দামও কম রয়েছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলার সিহর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া নতুন কুমিল্লাকে জানান, প্রায় দুইশ বছর ধরে প্রতি বছরের মাঘ মাসের প্রথম দিনে শীতকালীন এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বাপ-দাদা থেকে শুরু করে তিনি এ মেলায় মাছ ব্যবসা করে আসছেন। তার দোকানে এবছর ১৫ কেজি ওজনের চিতল, বোয়াল, কোরালসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি চিতল মাছ বিক্রি করছেন এক হাজার টাকা দরে। মেলার সবছে বড় দোকানটি তার।

মেলাতে আসা ঢালুয়া গ্রামের মজিবুল হক নতুন কুমিল্লাকে জানান, সে ১২ কেজি ওজনের একটি চিতল মাছ ক্রয় করেছেন। যার দাম রাখা হয়েছে ১২ হাজর টাকা। বছরে একটা দিন মেলা হয়। সখের বতর সবাই এ মেলাতে মাছ কিনতে আসেন।

জানা যায়, কুমিল্লাসহ মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা এসে আনন্দ উপভোগ ও কেনাকাটা করেন। এ মেলার প্রধান আকর্ষন হলো মাছ। কে কার আগে বড় মাছ কিনবে, তা নিয়েই চলে এ মেলায় প্রতিযোগিতা। একদিনের এ মেলায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। শিশু থেকে শুরু করে সকল শ্রেণীর মানুষ মেলায় তাদের পছন্দের জিনিস ক্রয় করতে আসেন।

সোমবার বিকেলে মেলায় আসা পৌচির গ্রামর আব্দুল মালেক নতুন কুমিল্লাকে জানান, ঐতিহ্যবাহি ঠাণ্ডাকালীন এ মেলায় সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে অনেক আনন্দ করেছি। মেলার প্রধান আকর্ষন ছিলো মাছ। তাই ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি সামদ্রিক মাছ কিনেছি। তবে মেলাটি ২ দিনব্যাপী হলে আরও মজা হতো বলে জানান তিনি।

এ বছর মেলা কমিটির দায়িত্বে থাকা ঢালুয়া গ্রামের শরীফ নতুন কুমিল্লাকে বলেন, দুইশ বছর ধরে চলে আসা এ মেলাটি ‘ঠাণ্ডাকালী’ নামে পরিচিত। মেলায় কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা আসেন। মেলায় যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসন এলাকার স্থানীদের নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বেলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন