কুমিল্লা
শুক্রবার,৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান নাঙ্গলকোটে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ওষধ বিতরণ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুবিতে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

৪৯ দিনে কোরআনের হাফেজ হলেন কুমিল্লার বিস্ময় শিশু রাফসান!

৯ বছর বয়সী বিস্ময় শিশু হাফেস রাফসা / ছবি: নতুন কুমিল্লা

মাত্র ৪৯ দিনে কোরআনের হাফেজ হললেন ৯ বছর বয়সি শিশু কুমিল্লা রাফসান। সে কুমিল্লা মহানগরীর ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিফজ বিভাগের ছাত্র। রাফসান জেলার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের প্রবাসী বাহার উদ্দিনের ছেলে।

রাফসানের শিক্ষক হাফেজ জামাল উদ্দিন রবিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নতুন কুমিল্লাকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাফসান দেশের বিস্ময় বালক। তার মেধা সাধারণের চাইতে অনেক বেশি। সে ৪৯ দিনে কোরানের ৩০ পারাই মুখস্ত করেছে।

শিক্ষক হাফেজ জামাল উদ্দিন আরও বলেন, গত বছরের নভেম্বরের ২ তারিখে রাফসানকে কোরআন শরিফের ৩০ তম পারা মুখস্ত করতে দেই। দিন শেষে রাফসান গড়গড় করে ৩০তম পারাটি মুখস্ত বলে দেয়। এতে অবাক হলেও হয়ত আগে থেকেই পারাটি তার মুখস্ত ছিল ভেবে পরের দিন আবার তাকে প্রথম পারা মুখস্ত করতে দেই।

একইভাবে সে দ্রুত ওই পারাটিও সবক দিয়ে দেয়। এভাবে কোরআনের পাঁচটি পারা কয়েক দিনের মধ্যে মুখস্ত করে দিলে আমরা নিশ্চিত হই যে রাফসান আর সব শিশু থেকে আলাদা। তার মুখস্তবিদ্যা প্রখর। এভাবে প্রতিদিনই এক পারা করে মুখস্ত করে যেতে থাকে ও পেছনের আয়াতগুলো ঝালিয়ে নিতে থাকে রাফসান। সে এখন পুরো কোরআন শুনানি চলছে বলে জানান শিক্ষক জামাল উদ্দিন।

রাফসানের মা শাহিনা আক্তার জানান, ২০১৭ সালে ছেলে রাফসানকে নুরানি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করে। প্রথম শ্রেণির বই পড়ার সঙ্গে দেখে দেখে কোরআন পড়া শেষ করে। এর পরই ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তাকে একই মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার এই ফলাফলে মা সহ খুশি হয়েছেন মনোহরগঞ্জের কাশিপুর গ্রামের সবাই। দু’হাত তোলে দোয়া করছেন সে যেন বড় আলেম হন। মুঠোফোনে এমনটি জানয়েছেন রাফসানের মা শাহিনা আক্তার।

আরও পড়ুন