কুমিল্লা
শুক্রবার,৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান নাঙ্গলকোটে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ওষধ বিতরণ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুবিতে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

কুমিল্লার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এনআইডি জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩ রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট পেতে সহায়তার অভিযোগে কুমিল্লার অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ পরিদর্শকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি কুমিল্লায়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-২ এ তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। মামলায় অবৈধভাবে এনআইডি কার্ড পাওয়া ১৩ রোহিঙ্গাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলার আসামিরা হলেন, কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন, পটুয়াখালীর পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এস এম মিজানুর রহমান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন, রংপুর ডিআইজি অফিসের পুলিশ পরিদর্শক প্রভাষ চন্দ্র ধর, রোহিঙ্গা নাগরিক মো. তৈয়ব, মোহাম্মদ ওয়ায়েস, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, মোহাম্মদ রহিম, আবদুর রহমান, আব্দুস শাকুর, নুর হাবিবা, আমাতুর রহিম, আসমাউল হুসনা, আমাতুর রহমান, নুর হামিদা, মোহাম্মদ ওসামা ও হাফেজ নুরুল আলম। তাদের মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শকসহ ঘটনার সময় কক্সবাজার জেলায় কর্মরত ছিলেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কক্সবাজারের সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে অবস্থানরত ১৩ রোহিঙ্গাকে জালিয়াতির মাধ্যমে এনআইডি কার্ড পেতে সহযোগিতা করেন সেসময়ের কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন। এই বিষয়ে অভিযোগ উঠার পর তদন্ত প্রতিবেদনেও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নেন। বর্তমানে মোজাম্মেল হোসেন কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। জালয়াতি করা এসব এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট নেন রোহিঙ্গারা।

আর এই কাজে তাঁদের সাথে যুক্ত ছিল তৎকালিন কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান, রুহুল আমিন এবং প্রভাষ চন্দ্র ধর। এদের মধ্যে রুহুল আমিনের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাইকোঠা গ্রামে। বর্তমানে তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই তারা জালিয়াতি সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে করেন দুদক। যার ফলে বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫ এর ২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১৩ রোহিঙ্গাকেও আসামী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল তালুকদার বৃহস্পতিবার তার সাড়ে ৯টায় নতুন কুমিল্লাকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কুমিল্লায় কর্মরত আছেন। আমি যতটুকু জানি অভিযোগগুলো অনেক আগে বিভিন্ন সময়ে ঘটানো। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

আরও পড়ুন