কুমিল্লা
শনিবার,১ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ কার্তিক, ১৪৩২ | ৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭
শিরোনাম:
মেয়েকে শেষবার দেখতে হেলিকপ্টারে ছুটে এলেন আফ্রিকা প্রবাসী বাবা ছাত্রলীগ–যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেফতার `বিএনপি সংস্কার প্রস্তাব না মানলে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেবে’ কুমিল্লা-৬ আসেনে এবি পার্টির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু কুমিল্লায় ১৯ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ চান্দিনায় ‘মা’কে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শচীন দেববর্মনের জন্মভিটায় দুই দিনের মেলা, দাবি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্সের কুমিল্লা নগরে চোরের উপদ্রব, অতিষ্ঠ বাসিন্দারা নোয়াখালীর শাওন ও চট্টগ্রামের মুরাদের ব্যতিক্রমী পদযাত্রা

নোয়াখালীর শাওন ও চট্টগ্রামের মুরাদের ব্যতিক্রমী পদযাত্রা

মাহমুদুল হাসান শাওন ও হাসান মুরাদ। ছবি: নতুন কুমিল্লা

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পায়ে হেঁটে দেশভ্রমণ করছেন দু‘তরুণ। নোয়াখালীর মাহমুদুল হাসান শাওন ও চট্টগ্রামের হাসান মুরাদ শুরু করেছেন এক মাসব্যাপী ব্যতিক্রমী এ অনন্য যাত্রা।

বুধবার(২৯ অক্টোবর) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অতিক্রম করেছেন তারা। এর আগে ১৭ অক্টোবর টেকনাফ থেকে যাত্রা শুরু করেছেন দু’বন্ধু। তেঁতুলিয়ায় পৌঁছে শেষ হবে তাদের এ যাত্রা।

জানা গেছে, ৩১ বছর বয়সি হাসান মুরাদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও ভ্রমণপ্রেমী। তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা এবং বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সিবিবি ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতায় কাজ করছেন।

অপরদিকে ২০ বছর বয়সি মাহমুদুল হাসান শাওন নোয়াখালীর চৌমুহনী সালেহ আহমেদ কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ট্রাভেল গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তারা একত্রিত হয়।

১৭ অক্টোবর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে তারা এই সচেতনতামূলক পদযাত্রা শুরু করেন। পুরো যাত্রা সম্পন্ন করতে ২৮ থেকে ৩০ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

তাদের পরিবারের কেউ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত না হলেও সমাজে সচেতনতার অভাব থেকেই এই কঠিন রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করেন তারা।

যাত্রাপথে তারা বিভিন্ন বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনবহুল স্থানে থেমে মানুষকে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে অবহিত করছেন এবং লিফলেট বিতরণ করছেন। তীব্র গরমের কারণে যাত্রা কিছুটা ধীরগতিতে এগোলেও সাধারণ মানুষ তাদের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন এবং নানা উপায়ে সহায়তা করছেন। তাদের বিশ্বাস, এই পদযাত্রা শুধু থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধেই নয় বরং দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক উদ্যোগে অংশ নেয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে।

বুধবার তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অতিক্রম করে পদুয়ার বাজার এলাকার কাছাকাছি অবস্থান করছেন। এর আগে চৌদ্দগ্রাম বাজারে তাদেরকে স্বাগত জানান চৌদ্দগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক ও উপজেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের নেতারা।

ভ্রমণপ্রেমী হাসান মুরাদ বলেন, থ্যালাসেমিয়া এক ধরনের রক্তশূন্যতা, যেটা জন্মগতভাবে এক পরিবার থেকে আরেক পরিবারে বংশ পরম্পরায় চলতে থাকে।

কলেজ ছাত্র মাহমুদুল হাসান শাওন বলেন, ছোটোকাল থেকেই ভ্রমণের প্রতি নেশা ছিল। এ ভ্রমণের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাই একমাত্র উদ্দেশ্য। এতে আমার ভ্রমণও হলো, মানুষও সচেতন হলো।

বুধবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের নেতা মোহাম্মদ হোসেন নয়ন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রক্ত নিয়ে কাজ করি। থ্যালাসেমিয়া হলো ‘রক্ত শূন্যতা’। বিয়ের আগেই যদি সবাই রক্ত পরীক্ষা করে, তাহলে থ্যালাসেমিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়। এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা জরুরি।

আরও পড়ুন