শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান শিল্পপতি মোঃ শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি তাঁর নিজের এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের দাদঘর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শাহজাহান ভূঁইয়া।
নিজ ইউনিয়নে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি মান্দারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বপালন করেছেন। প্রতিবছর তিনি গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে উপবৃত্তি দিয়ে থাকেন। এছাড়াও জিপিএ -৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা দিয়ে থাকেন।
তিনি সবসময় দাদঘর কেয়ারী দাখিল মাদ্রাসায় সহযোগিতা করে থাকেন। বর্তমানে তিনি পঞ্চগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিজ অর্থায়নে পঞ্চগ্রাম শাহজাহান ভূঁইয়া ডিগ্রি কলেজ (প্রস্তাবিত) পরিচালনা করে যাচ্ছেন। নিজ ইউনিয়ন ছাড়াও পাশ্ববর্তী শাহ শরীফ ডিগ্রি কলেজে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রত্যেক বছর বৃত্তি প্রদান করে থাকেন। নয়নপুর পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়েও তিনি সহযোগিতা করেছেন।
তিনি সবসময় গরীব ও মেধাবীদেরকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় মান্দারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান আরিফ ও শরীফের স্কুলের বেতন তিনি চালিয়েছেন।
তাদের পড়ালেখার জন্য তিনি সবসময় সহযোগিতা করেছেন। এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য তিনি নিজ গ্রামে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করছেন। বর্তমানে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ চলমান। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের কারনে তিনি এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসী জানায়, শাহজাহান ভূঁইয়ার মতো একজন সাদা মনের মানুষ বর্তমান যুগে খুব কম পাওয়া যায়।
তিনি সবসময় এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন। মহান আল্লাহ যাতে শাহজাহান ভূঁইয়াকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখেন। শিল্পপতি শাহজাহান ভূঁইয়া জানান, শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করতে আমার খুব ভালো লাগে।
এলাকার মানুষকে সহযোগিতা করতে পারলে নিজের কাছে ভালো লাগে। আল্লাহ আমাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখেন আমি আমার এলাকার মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।





