কুমিল্লা
রবিবার,৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় কুমিল্লায় ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান নাঙ্গলকোটে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ওষধ বিতরণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন অনেক শক্তিশালী : শোয়েব মালিক

ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে চলতি বিপিএলের ৭টি ম্যাচ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাংলাদেশের কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি ব্যাট হাতে। বুধবার (৯ জানুয়ারি) সবশেষ ম্যাচে তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুবর ৪৫ রানের ইনিংসটিই এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সেরা ইনিংস। এছাড়া ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রথম ম্যাচে ১৪ বলে ৩৮ রানের তুফান চালিয়েছিলেন শুভাগত হোম।

শেষ হওয়া সাত ম্যাচে স্থানীয় ক্রিকেটারদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সের হাইলাইটস এ দুটি ইনিংসই। কিন্তু বিদেশিদের মধ্যে হযরতউল্লাহ জাজাই, রাইলি রুশো, সুনিল নারিন কিংবা পল স্টার্লিংরাও পেয়েছেন পঞ্চাশের দেখা। জাজাই দেখিয়েছেন মিরপুরের উইকেটে মেরে খেলে রান করা সম্ভব, আবার রুশো-ওয়ার্নাররা প্রমাণ করেছেন, ধরে খেলেও ইনিংস গোছানো সম্ভব।

কিন্তু এর কোনোটিই করতে পারেননি স্থানীয় ব্যাটসম্যানরা। এ ব্যাপারটি কি আয়োজক দেশের ক্রিকেটের জন্য চিন্তার বিষয়? এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের পাকিস্তানি রিক্রুট শোয়েব মালিকের সামনে। কেননা স্থানীয় ক্রিকেটারদের রানখরায় যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কুমিল্লাও।

প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার জয়ে বড় অবদান ছিলো শহীদ আফ্রিদির ঝড়ো ব্যাটিংয়ের, দ্বিতীয় ম্যাচেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিনিই। দেশি ক্রিকেটাররা কেউই পারেননি ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু রয়েছে বলে মনে করেন না মালিক। তিনি মনে করেন, সঠিক পথেই রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।

বুধবার মিরপুরের একাডেমি দলের সঙ্গে অনুশীলনের ফাঁকে মালিক বলেন, ‘আপনি যদি সবমিলিয়ে তিন ফরম্যাটের কথা চিন্তা করেন, তাহলে দেখবেন বাংলাদেশের উন্নতিটা স্পষ্ট। আমি মনে করি আপনার দেশের ক্রিকেট সঠিক পথে রয়েছে কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে অনেক তরুণ প্রতিভাকে দেখেছি, যাদের শুধু খানিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।’

এ তরুণদের অভিজ্ঞ করার দায়িত্বটা দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদেরই নিতে হবে বলে জানান মালিক। তিনি বলেন, ‘এখন এটা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দায়িত্ব। তারা তাদের অভিজ্ঞতাটা তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় যেন। সিনিয়র খেলোয়াড়দেরই দায়িত্ব নিয়ে তরুণদের চাপ সামাল দেয়ার দীক্ষা দিতে হবে। তরুণদের অনেক প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু এখনের ক্রিকেটে প্রতিভাই সব নয়। অনেকাংশেই অভিজ্ঞতার ওপর ম্যাচের গতিবিধি নির্ভর করে। তাই এ দায়িত্বটা সিনিয়র ক্রিকেটারদেরই নিতে হবে।’

মালিক আরও বলেন, ‘যেমনটা বললাম, আমি মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেট সঠিক পথেই রয়েছে। হ্যাঁ, এটা ঠিক বিশ্বের সেরা দলের তালিকায় নাম উঠানোর জন্য আরো সময় লাগবে। সবমিলিয়ে আমি দেখেছি সাম্প্রতিক সময়ে যারাই বাংলাদেশে খেলতে এসেছে কেউই সুবিধা করতে পারেনি। বাংলাদেশ দল এখন অনেক শক্তিশালী। এমনকি আপনি যদি বিদেশের কথা বলেন, সেখানেও এখন ভালো খেলছে বাংলাদেশ। এটা তাদের জন্য খুবই ভালো দিক।’

আরও পড়ুন