কুমিল্লা
সোমবার,৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
৮ ডিসেম্বর যেভাবে মুক্ত হয় কুমিল্লা শিক্ষার্থীরা পুরাতন ধাচের রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে : শিবির সভাপতি খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় কুমিল্লায় ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা

রাগ থেকে ট্র্যাকের রাজা কুমিল্লার ইসমাইল

জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মো. ইসমাইল হোসেন / ছবি নতুন কুমিল্লা

২০১০ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে অভিষেক, ১০ বছরে লংজাম্পে ৮ টি স্বর্ণ মো. ইসমাইল হোসেনের ঝুলিতে। কুমিল্লার তিতাসের এ যুবক প্রথমবারের মতো ১০০ মিটার খেলতে নেমেই মাত করলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। রেকর্ড গড়েই হলেন দেশের দ্রুততম মানব। গত সামার অ্যাথলেটিকসে সেরা হওয়া বিকেএসপির হাসান মিয়াকে সিংহাসনচ্যুত করে ট্র্যাকের রাজা হলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইসমাইল।

দীর্ঘদিন লংজাম্পে রাজত্ব করার পর হঠাৎ কেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে এলেন ইসমাইল? বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দেশের দ্রুততম মানব হওয়ার পর সে রহস্যের ঝাপি খুললেন ইসমাইল। বললেন, রাগ থেকেই তিনি এ ইভেন্টে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজ সংস্থার হিটে ৭ বারের দ্রুততম মানব মেজবাহ আহমেদকে পেছনে ফেলে জায়গা করে নিয়েছেন চূড়ান্ত দলে। স্বপ্নের মতোই শুরু হলো ইসমাইলের ক্যারিয়ারের নতুন মিশন।

নতুন ইভেন্টে সেরা হতে ইসমাইল ভেঙেছেন ২৮ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ১৯৯১ সালে গোলাম আম্বিয়া স্বর্ণ জিতেছিলেন ১০.৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে, ইসমাইলের টাইমিং ১০.২০ সেকেন্ড। ১৯৯৯ সালে মাহবুব আলমের ১০.৫৪ সেকেন্ডের ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ের রেকর্ডও ভেঙেছেন মো. ইসমাইল।

তো কিসের উপর রাগ করে ১০০ মিটারে মনোনিবেশ করেছেন ইসমাইল? ‘আমি ৮ বার লংজাম্পে স্বর্ণ জেতার পরও দেখলাম কোনো মূল্যায়ন নেই। বুঝলাম ১০০ মিটারে স্বর্ণ না জিতলে কোনো ফোকাস নেই, কোনো মজা নেই। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ১০০ মিটার জয়ীরাই যান, বিদেশে ট্রেনিংয়ের সুযোগও তারা বেশি পান। তাই গত সামারের পরই আমি সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম লংজাম্পের পাশাপাশি ১০০ মিটারও খেলবো। তারপর থেকেই আমি নিয়মিত অনুশীলন করেছি। গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যে ট্রায়াল হয়েছে, সেখানে দ্বিতীয় হয়ে সুযোগ পাই চূড়ান্ত দলে।’

১৬ বছরে অ্যাথলেটিকস শুরু, ২৬ বছর বয়সে এসে ১০০ মিটারে অভিষেক। এটা বড় এক চ্যালেঞ্জ তা জানেন ইসমাইল। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী, ‘সব কিছু মানসিকতার ব্যাপার। জাস্টিন গ্যাটলিন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে যদি উসাইস বোল্টকে হারাতে পারেন, তাহলে আমি কেন পারবো না? ভালো অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা পেলে সাফল্য ধরে রাখতে পারবো।’

শুরুতে একটু পেছনে ছিলেন, তারপর আস্তে আস্তে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন। শুরুটা যদি আরো ভালো হতো তাহলে তো…..। ‘আসলে স্ট্যার্টিংয়ে একটু সমস্যা আছে। কারণ স্প্রিন্টের স্পেশাল ট্রেনিং আমার নেই। সেগুলো বাড়াতে হবে। আগামীতে এ দূর্বলতা কেটে যাবে আশা করি’-বলছিলেন ইসমাইল।

আরও পড়ুন