৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় কুমিল্লার লালমাই থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদীকে অপহরন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে আসামীর পরিবার। এঘটনায় মামলার বাদী মুরশিদা বেগম নিরাপত্তা চেয়ে লালমাই থানায় জিডি করেছেন।
তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, কুমিল্লা কারাগারে থাকা মামলার একমাত্র আসামী শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়ার বড় ভাই আবুল কাশেম ভুঁইয়া, ভাতিজা আলমগীর হোসেন ও ভাতিজি লিলু গত ১৪ জুন সকালে বাদীর বাড়ীতে গিয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে চাপ সৃষ্টি করে এবং হুমকি দিয়ে বলে, মামলা প্রত্যাহার না করলে বাদীসহ শিশু কন্যাকে অপহরন করে প্রাণে হত্যা করবে।
পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনদের মাদকসহ বিভিন্ন সাজানো মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবে এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুর করবে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১০ জুন বিকালে লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তরের ভুশ্চি দক্ষিণ পাড়ার মৃত ইব্রাহিম ভুঁইয়ার ছেলে শহিদুল হক ভুঁইয়া (৪০) প্রতিবেশী প্রবাসী ইলিয়াছের ৭বছরের শিশু কন্যা কে খেজুরের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে লালমাই থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা (নং ০১, তাং ১১/০৬/২০১৯ইং) দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করলে বিচারক তাকে জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
মামলার বাদী মুরশিদা বেগম বলেন, আমরা বাড়ী ঘরে থাকতে পারছি না। শহিদুলের পরিবারসহ এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী আমাদের অপহরন, প্রাণনাশ ও একঘরে করার হুমকি দিচ্ছে। গ্রামের কাউকে আমাদের সাথে কথা বলতে দিচ্ছে না। বিশেষ করে মামলার তদন্তকারী অফিসার থেকে কোন হেল্প পাচ্ছি না। দুদিন ধরে তিনি আমাদের ফোন রিসিভ করছেন না।
লালমাই থানার ওসি বদরুল আলম তালুকদার নতুন কুমিল্লাকে জিডি’র সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।





