কুমিল্লা
শুক্রবার,৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান নাঙ্গলকোটে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ওষধ বিতরণ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুবিতে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

কুমিল্লায় জাহানারা ইমামের মৃত্যু বার্ষিকী ও প্রয়ান দিবস পালিত

শহীদ জননী, কথা সাহিত্যিক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমামের ২৬তম প্রয়ান দিবস কুমিল্লায় পালিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লা ক্লাব সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো: সফিকুর রহমান।

এডভোকেট মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা: আতাউর রহমান জসিম, কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুল রহমান জুয়েল।

সম্পাদক পরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক বিবর্তন সম্পাদক অধ্যাপক দিলীপ মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইমুন হক, অধ্যাপক ময়নামতি মেডিকেল কলেজ, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা: হারুনুর রশিদ।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মো: জহিরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ পুলিন সরকার, অধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র, অচিন্ত দাস টিটু, মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শান্তি নিরঞ্জন সরকার, পরিমল সরকার, মো: দেলোয়ার হোসেন, পরিমলেন্দু দাস, সাংবাদিক বাহার রায়হান ও অমিত মজুমদার প্রমুখ।

উল্লেখ্য- দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মারা যান তিনি। জাহানারা ইমাম ছিলেন একাধারে মুক্তিযোদ্ধা শাফি ইমাম রুমীর গর্বিত জননী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সংগঠক। ১৯২৯ সালের ৩ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্ম নেন জাহানারা ইমাম।

তার লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। তার বড় ছেলে শাফি ইমাম রুমী উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং গেরিলা অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরে তিনি শহীদ হন।

জাহানারা ইমামের নেতৃত্বেই প্রথম মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে ওঠে। তিনি ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ছাত্র, নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় কমিটি গঠন করেন।

সর্বসম্মতিক্রমে তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির আহŸায়ক নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন