প্রস্তুত হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ নতুন বই। ইতিমধ্যে কুমিল্লার ১৭টি উপজেলাতে পৌঁছেও গেছে বইগুলো। নতুন বইয়ের গন্ধ আর স্পর্শ পেতে এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছে জেলার প্রায় আট লাখ শিশু শিক্ষার্থী। এ বছর কুমিল্লা জেলাতে প্রাক প্রাথমিক হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে এসব বই। নতুন বছরের প্রথম দিনই এসব বই তুলে দেওয়া হবে শিশুদের হাতে। ২০২০ সালের প্রথম দিনে বই উৎসবে মাতবে কুমিল্লার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা।
জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সূত্র জানায়, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার দুই হাজার ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ হাজার ৭৮১টি কিন্ডার গার্টেন, ৩৯৪টি এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়সহ ৪ হাজার ৪৪৭টি বিদ্যালয়ের ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩১৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য কুমিল্লায় এসেছে ৩৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪২৮টি নতুন পাঠ্য বই। ইতিমধ্যে কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলাতে পৌঁছে গেছে এসব বই।
আগামী ১ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা বই বিতরণে অংশ নেবেন।
জেলার বরুড়া পৌর বালিকা স্কুলের শিশু শ্রেণি থেকে নতুন বছরে প্রথম শ্রেণিতে পা দিবে ওয়ারিশা রহমান ইশরা। সে বরুড়া পৌরসভার তলাগ্রাম এলাকায় বসবাসরত চাকুরীজীবি মোস্তাফিজুর রহমান মেয়ে। নতুন বই কবে দিবে? মা-বাবার কাছে প্রতিদিন এমন প্রশ্ন বেশ কয়েকবার করে সে। ইশরা বলে, আমার বইগুলো পুরান হয়ে গেছে। বার্ষিক পরীক্ষার পর স্যাররা বলেছে কয়দিন পর আমাদের নতুন বই দিবে। স্যাররা নতুন বই দিলে, আমি নতুন বই নিয়ে আম্মুর সাথে প্রতিদিন স্কুলে যাবো।
কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আবদুল মান্নান নতুন কুমিল্লা.কমকে বলেন, কিছুদিন আগেই এসব বই সব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পৌঁছেছে। বর্তমানে সেখান থেকে উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইগুলো শিক্ষার্থীর সংখ্যানুযায়ী পৌঁছানো হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীই নতুন বই পাবে। নতুন বছরের প্রথম দিনটি শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বই উৎসব’।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র আরো জানায়, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে আদর্শ সদরে ৪ লাখ ৩ হাজার ১০৯টি, লাকসামে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০টি, দেবিদ্বারে ৩ লাখ ২০ হাজার ৮৫০টি, মুরাদনগরে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৩০টি, দাউদকান্দিতে ২ লাখ ২১ হাজার ৭৯৬টি, চৌদ্দগ্রামে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭৬টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫০টি, বরুড়ায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ’টি,
বুড়িচংয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩০টি, চান্দিনায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৮ শ’টি, হোমনায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ১৭২টি, নাঙ্গলকোটে ২ লাখ ৫১ হাজার ১ শ’টি, মেঘনায় ৫৮ হাজার ৫ শ’টি, মনোহরগঞ্জে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২শ’টি, তিতাসে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬শ’ টি, সদর দক্ষিণে ১ লাখ ৯২ হাজার ১৪৩টি এবং নবগঠিত লালমাই উপজেলায় ৯৭ হাজার ৪৯২টি বই বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।





