কুমিল্লার মুরাদনগরে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম। থানায় আটককৃত ১৩০টি সিএনজি ছেড়ে দিয়ে চালকদের হাতে তুলে দিলেন ভালোবাসার উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী।
জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকেই তিনি থানা এলাকার প্রবাস ফেরত ব্যাক্তিদের শতভাগ হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, সাধারণ মানুষকে সচেতনাতমূলক পরামর্শ দিয়ে তাদের মাঝে মাস্ক, সেনিটাইজার বিতরণ করা, রাতের আঁধারে পুরো থানা এলাকার প্রতিটি জায়গা ঘুরে ঘুরে নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ মুঠো ফোনে কেউ যোগাযোগ করলে তার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দিচ্ছেন এই অফিসার।
কুমিল্লা ১৭ উপজেলার করোনাভাইরাস আপডেট দেখতে এখানে ক্লিক করুন
কুমিল্লা জেলাকে লক ডাউন ঘোষণার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেন ওসি মনজুর আলম। তিনি পুলিশ সদস্যদের দিয়ে মুরাদনগরে ঢোকার প্রধান প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি লক ডাউন না মেনে রাস্তায় অবাদে চলাচলের কারণে ১৩০টি সিএনজি আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। সিএনজি আটক হওয়ার পর থেকে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে চলে আসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি।
এদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকলেও চোখে ঘুম আসছিলোনা আটক হওয়া সিএনজি মালিক ও ড্রাইভারদের। কারণ তাদেরকে বলা হচ্ছিলো লক ডাউন যতদিন থাকবে ততদিন সিএনজি ছাড়া হবে না আর কতকি জরিমানা করা হয় কে জানে? তবে মালিক ও ড্রাইভারদের এসব ভ্রান্ত ধারনা ভেঙ্গে দিয়ে শনিবার (২৫ এপ্রিল) মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ওসি মনজুর আলম।
তিনি সকল গড়ির ড্রাইভারদের থানায় উপস্থিত করে তাদের কে যার যার সিএনজি বুজিয়ে দিয়ে হাতে তুলে দেন উনার নিজস্ব অর্থায়নে ভালোবাসার উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী। সিএনজি নিতে এসে খাদ্য সামগ্রী হাতে পেয়ে বেস আনন্দিত চালকরা।
এ সময় ওসি মনজুর আলম চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্রেতা সাধারনের সুবিধার্থে মানবিক বিবেচনায় প্রশাসনের নির্ধারিত সময় সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সিএনজি চালাতে পারবেন, যদি বিশেষ কোন প্রয়োজন হয় তবে একই পরিবারের সদস্য না হলে এক জনের বেশি লোক সিএনজিতে উঠাতে পারবেন না। এর বাহিরে যদি কেউ বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।





