কুমিল্লা
শুক্রবার,৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭
শিরোনাম:
কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন কাল, আসবেন ৫ দেশের ক্বারী যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন : হাসনাত খালেদা জিয়ার জানের সদকা ১৬টি ছাগল দান করলেন হাজী ইয়াছিন হাজী ইয়াছিনের দোয়ার আয়োজনে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ভিক্টোরিয়া কলেজে রবীন্দ্র–নজরুল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি: হাসনাত কুমিল্লায় ‘কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ পদ্ধতিতে অ্যাগ্রোইকোলজি উন্নয়ন’ কর্মশালা নাঙ্গলকোটে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তারের যোগদান নাঙ্গলকোটে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ওষধ বিতরণ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুবিতে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

মনোহরগঞ্জে ধান কাটা নিয়ে কৃষক পরিবারে হামলা, আহত ১০

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে অসুস্থতার কারনে আবদুল জলিল নামের এক কৃষকের ধান কাটতে না যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষকের পরিবারের হামলা চালানো হয়েছে। এতে মহিলাসহ ওই পরিবারের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।

উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক জলিল ওই গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।


কুমিল্লা ১৭ উপজেলার করোনাভাইরাস আপডেট দেখতে এখানে ক্লিক করুন


ওই কৃষকের অভিযোগ, একই গ্রামের বাসিন্দা খিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জুয়েল রানার নির্দেশে এবং তার পিতা আবুল কালাম মেম্বারের নেতৃত্বে দুই দফায় হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেও অর্থের অভাবে কৃষক পরিবারটি আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না বলে জানা গেছে।

কৃষক আবদুল জলিল জানান, গত সপ্তাহে পূর্বের চুক্তিনুযায়ী কালাম মেম্বারের ভাই আবুল কাশেমের ধান কাটার জন্য গেলে তিনি বলেন এখন ধান কাটতে হবে না। এরই মধ্যে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। এরপর গত বৃহস্পতিবার কাশেমের ছেলে সুমন এসে আমাকে তাদের ধান কাটতে যেতে বলে। কিন্তু আমি অসুস্থতার কারনে ধান কাটতে যেতে রাজি হইনি। এই কারনে সুমন আমাকে মারধর করলে আমি কালাম মেম্বারের ছেলে যুবলীগের নেতা জুয়েলের কাছে যাই বিচারের জন্য। তিনি বিচার না করে উল্টো আমাকে হুমকি দেন। পরে আমি বিষয়টি বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা গিয়ে জুয়েলকে ঘটনাটি জিজ্ঞেস করেন।

এর জেরধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জুয়েলের নির্দেশে ও তার বাবা কালাম মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমি, হারুনুর রশিদ, সফিকুল ইসলাম, মিজান, মহরম আলী, বৃদ্ধ আলী আশ্রাফ, আলী মিয়া এবং বাড়ির মহিলারাসহ ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়।

পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে লাকসামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু টাকার অভাবে এখনো এই ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিতে পারিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল কালাম মেম্বার বলেন, আমি এবং আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা। আমি গিয়েছিলাম ঘটনা সমাধান করতে। কিন্তু তারা কেউ আমার কথা শুনেনি। আমি এই ঘটনায় জড়িত না।

মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেঝবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, হামলার খবর পেয়ে ওইদিন সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে এখনো এই ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে শুনেছি ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন