কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) রিসার্চ সোসাইটির উদ্যোগে ও এডিটজ আইটি ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম (আইইএলটিএস) প্রস্তুতি বিষয়ে একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষার্থী ও এডিটজ আইটি ইনস্টিটিউটের আইইএলটিএস ইন্সট্রাক্টর আল-আরাফাত আমিন রাফি। ওয়ার্কশপে তিনি অংশগ্রহণকারীদের আইইএলটিএসে উচ্চ স্কোর পাওয়ার বিভিন্ন কৌশল, ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা এবং ধাপে ধাপে প্রস্তুতির পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রশিক্ষক আল আরাফাত আমিন রাফি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আইএলটিস এর চারটি মডেল এর উপর ধারণা দেওয়ার জন্য। আমরা যদি ইংরেজি বলি, ইংরেজি শুনি ও লেখি রেগুলার চর্চা করি তাহলে শিখতে পারবো, এটা আমাদের এখন ও ভবিষ্যৎ জীবনে উচ্চতর পড়াশোনায় অনেক কাজে দিবে।’
এডিটজ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা মাহি রহমান বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেনো ক্যারিয়ারে ভালো কিছু করতে পারে, সেটার জন্য তাদের দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। স্টুডেন্টরা ইংরেজি শিখতে পারে, সেজন্য তারা হয়তো আইএলটিএস করবে। অথবা কম্পিউটার কোর্স করবে, অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখতে পারে। মূল কথা যাতে কুমিল্লা থেকে তারা দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষতা অর্জনই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সোসাইটির আহ্বায়ক দিপংকর চন্দ্র দাস বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটি সবসময়ই শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আজকের IELTS বিষয়ক সেমিনার সেই ধারাবাহিক উদ্যোগেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের লক্ষ্য হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন বৈশ্বিক মানের শিক্ষা, গবেষণা ও ক্যারিয়ার প্রস্তুতিতে পিছিয়ে না থাকে। তাই Research Society নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সেমিনার, স্কিল-বিল্ডিং ওয়ার্কশপ এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টমূলক কার্যক্রম আয়োজন করে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সেমিনারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে বাস্তবসম্মত ধারণা পেয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এসব উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরও শক্তিশালী করবে এবং তাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তুলবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটি ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উদ্ভাবনী, কার্যকর ও গবেষণাবান্ধব প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে আমরা সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’



