কুমিল্লা
বুধবার,১৯ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭
শিরোনাম:

কুমিল্লায় একই দিনে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা

কুমিল্লার টাউন হল মাঠে একই দিনে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচি ঘিরে নগরীতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাঠের পূর্বপাশে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও পশ্চিম পাশে মনিরুল হক চৌধুরীর অনুসারীরা পৃথক ভাবে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরি করছেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) টাউন হল মাঠে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন গ্রুপ।

অন্যদিকে একই দিনে, একই মাঠে মনিরুল হক চৌধুরী গ্রুপ নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করেন। একই মাঠে দুই গ্রুপের দলীয় কর্মসূচি ডাকায় স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় টাউন হল মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তমঞ্চসহ মাঠের পূর্বপাশে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন অনুসারীরা প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন। আর পশ্চিম অংশে মনিরুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে এবং প্যান্ডেল তৈরির জন্য বাঁশ আনা হচ্ছে। এই দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য উৎসক জনতা মাঠে ভিড় করছেন। একই সঙ্গে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরাও মাঠে সরব রয়েছেন। তবে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা উত্তেজনা থাকলেও দৃশ্যমান কোন উত্তেজনা লক্ষ্য করা যানি। তবে বৃহস্পতিবার দিনটিকে ঘিরে জনমনে নগরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই পক্ষের মধ্যে ঘটতে পারে সহিংসতার ঘটনা। কারণ গত সোমবার বিকেলে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী নির্বাচনী গণমিছিল বের করলে নগরীর চকবাজার-কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে হাজী ইয়াছিন অনুসারী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান বলেন, গত ১৮ নভেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে দলীয় কর্মসূচির কথা জানিয়ে টাউন হল মাঠ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। এরআগে ১৫ নভেম্বর টাউন হলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল কবিরকে মৌখিক ভাবে আবেদন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দোয়া ও আলোচনা সভার জন্য মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে।

মনিরুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত আইনজীবী আবদুল মোতালেব মজুমদার বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ১৭ নভেম্বর আমারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করেছি অনুমতি চেয়ে। আবেদনের সময় মাঠের নির্ধারিত ফিও পরিশোধ করা হয়েছে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, শুনেছি একই স্থানে দুইটি পক্ষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে কাউকে অনুমিত দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে রাতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে দুই পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন