কুমিল্লা
রবিবার,১৬ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

বাংলাসাহিত্যে বিদ্রোহী কবির আগমন ধূমকেতুর মতো

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান থেকে: বাংলাসাহিত্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাসাহিত্যের আকাশে নতুনের কেতন উড়িয়ে ধূমকেতুর মতোই ছিল বিদ্রোহী কবির আগমন। বাংলাসাহিত্যকে তিনি সোনার ফসলে ভরিয়ে রেখে গেছেন।

শনিবার (২৬ মে) ভারতের পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) ডিগ্রি প্রদান করে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।

কবি নজরুলের অনন্য সৃষ্টি বিদ্রোহী কবিতার কয়েকটি লাইন আবৃত্তি করে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আবৃত্তি করেন-
“বল বীর
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমারি নতশির ঐ শিখর হিমাদ্রির!
বল বীর
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
ভূলোক-দুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন আরশ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চিরবিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!”

মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের অন্যন্য প্রতিভার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবি নজরুল ছিলেন এক বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক, নাট্যকার, নাট্যাভিনেতা, সাংবাদিক, সম্পাদক এবং সৈনিক।

শেখ হাসিনা বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার বাণী তার বচন ও আচরণে প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত হয়েছে।

নজরুলের সংগ্রামী জীবনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অতি প্রিয় দুখু মিয়ার শৈশব, কৈশোর অতিবাহিত হয়েছিল চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে। আর তাই তার সাহিত্যচর্চার বহুমুখী পটভূমিটিও সংগ্রামমুখর।

বাংলাদেশের ফরিদপুরে বিদ্রোহী কবির সঙ্গে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখা ও কথা হয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বয়সে তখন ছিলেন তরুণ। বাংলার ইতিহাসের এই দুজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্বের চরিত্রে ছিল দারুণ মিল। একজন ছিলেন সাহিত্যের কবি আর অন্যজন ছিলেন

আরও পড়ুন