কুমিল্লা
বুধবার,১২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি :

১১৪ দিন পর বাসায় ফিরল চৌদ্দগ্রামের দুই বোন

সায়রা ও সায়মা। ছবি: নতুন কুমিল্লা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত হয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল যমজ দুই বোন সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মা।

টানা ১১৪ দিন চিকিৎসা শেষে বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামে ফিরেছে তারা।

এরআগে সকালে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কার্যালয়ে দুই শিশুকে বিদায় জানান হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা। দুই যমজ শিশুর মধ্যে সায়রা ৩০ শতাংশ এবং সায়মা ১৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দুই যমজ শিশুর বাবা-মা ইয়াসিন মজুমদার ও আকলিমা আক্তার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা, সেনা ও বিমানবাহিনীর এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, দুই বোনের মধ্যে সায়রা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় ৩০ শতাংশ এবং সায়মা ১৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তারা সুস্থ হয়ে ওঠে। আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা প্রতিটি রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখিয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে যারা বাড়ি ফিরেছেন, তাদের নিয়মিত ফলো-আপ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বাবা ইয়াসিন মজুমদার বলেন, ১১৪ দিন ধরে হাসপাতালে ছিল আমার মেয়েরা। অনেক কষ্ট করে দিনগুলো কাটাতে হয়েছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আমার মেয়েরা অনেকটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে। স্কুলে এখন যেতে পারবে না, কিছু দিন সময় লাগবে পুরো সুস্থ হতে। আমি দেশবাসীর কাছে যমজ শিশু সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মার জন্য দোয়া চাই।

চলতি বছরের ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় মোট ৩৬ জন নিহত এবং ১২৪ জন আহত হন। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন-ত্রুটি চিহ্নিত করেছে।

আরও পড়ুন