কুমিল্লার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেগুলোতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা প্রায় এক শত ছাড়িয়ে গেছে। তবে এসব রোগীদের কেউ কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হননি। সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুক্রবার (০২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কুমিল্লায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ১২২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন ১৭জন। সব মিলিয়ে হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী আছেন ৬৩জন এবং অন্যান্য হাসপাতালে ১৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১১০ জন।
গত এক সপ্তাহে আরো ৫৯জন ডেঙ্গু রোগী কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: >>> কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু
কুমেকের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারী বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত সন্দেহে ৫৪জন রোগীর পরীক্ষা শেষে ৪জনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের লক্ষন সনাক্ত করেছে। গত কয়েকদিনে ২৫৪জন রোগী শুধুমাত্র কুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করেছে তাদের মধ্যে ১০জনকে সনাক্ত করেছে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ।
হাসপাতালে যে পরিমান কিট রয়েছে তা আগামী শনিবার ০৩ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। শনিবারের পরে আবার নতুন করে কীট সংগ্রহ করতে হবে। তবে আশার কথা হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে এই দুর্যোগ মুহূর্তে প্রায় ১লক্ষ ৫০ হাজার কীট সরবরাহ করেছে।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মুজিবর রাহমান জানান, আক্রান্তদের সবাই ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে কুমিল্লার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। তবে তাদের কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
এদিকে ডেঙ্গু সচেতনতায় কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রয়েছে। মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।





