বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের অস্তিত্বের লড়াই। দেশের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে তারেক রহমান দ্রুত নির্বাচন চেয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসকে—আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার জন্য। যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, দেশের অস্তিত্ব নিয়ে খেলতে চায়—তারা দেশের শত্রু।
শনিবার (৮ নভেম্বর) কুমিল্লা মহানগরীর নোয়াগাঁও চৌমুহনীতে এক শুভেচ্ছা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, যারা নিজের ব্যক্তিস্বার্থে ষড়যন্ত্রকারী, নির্বাচন বানচালকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে—তারা দলের শত্রু, তথা দেশের শত্রু। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত না মেনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী একটি পরিবারের অংশ। ভেদাভেদ ভুলে আসুন তারেক রহমান মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে একাট্টা হই।
তিনি আরো বলেন, গত ১৬ বছর আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি। শুধু আমি আন্দোলন করেছি এমন নয়, আমার পুরো পরিবার রাজপথে আন্দোলন করেছে। আমার মাসুম মেয়েরাও রাজপথে আন্দোলন করেছে।
জুলাই বিপ্লবে আমার মেয়ের (ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস) বজ্রকণ্ঠ আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন। অথচ যারা নিজেদেরকে ত্যাগী দাবি করে, গত ১৬ বছরে তাদের কোনো মামলা নেই। তারা জেলখানাও চেনে না। আমাকে চৌদ্দগ্রামের মিথ্যা হত্যা মামলায় ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপস করেননি। বিএনপি কখনো আপসের রাজনীতি করে না। শুধু আপস না করার কারণে তারেক রহমানকে যেভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছে, তার নজির এই উপমহাদেশে নেই।
নগরীর ১৯, ২০ ও ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে বিএনপি নেতা সোহেল মজুমদারের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ড. শাহ মোহাম্মদ সেলিম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. ডাক্তার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মাহবুব, সাবেক কাউন্সিলর, সমবায় দলের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সদস্য মেহেদী হাসান প্রমুখ।



