চুরি ও মাদকের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশা (৩৪) নামে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এক যুবকের ডান হাত কেটে শরীর থেকে আলাদা করা হয়েছে। আহত বাদশা উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের যশপুর গ্রামের মরহুম মোহন মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যুবকের শরীর থেকে আলাদা করা হাতের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় যুক্তদের ‘উপযুক্ত শাস্তি’ দাবীকরেন ফেসবুক ব্যবহার কারীরা। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় বাদশাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার যশপুর বাজারসহ বিভিন্নস্থানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও নারী নির্যাতন করে আসছিল চিহ্নিত চোর এবং মাদক সম্রট হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশা। বিভিন্ন সময় শালিশ বৈঠক করে বাদশাকে এসব অপরাধ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করলেও বিষয়টি সে আমলে নেয়নি।
সম্প্রতি যশপুর বাজারে আবারও তাঁর নেতৃত্বে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির পর থেকে সে পলাতক ছিল। সোমবার রাতে তাকে দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগীসহ বিক্ষুদ্ধ জনতা বাদশাকে গণপিটুনী দিয়ে ডান হাত কেটে শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে। মঙ্গলবার সকালে তার ডান হাতটি পাশ্ববর্তী খেয়াইশ গ্রামের একটি প্রজেক্টে পাওয়া যায়। পরে সেটি ওই প্রজেক্টের পাড়ে মাটিতে পুতে রাখা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শাহজালাল মজুমদার নতুন কুমিল্লাকে বলেন, হাত কর্তন করা যুবক এলাকার চিহ্নিত চোর ও মাদক ব্যবসায়ী। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। প্রায় সময় পথচারীদের গতিরোধ করে সে মালামাল লুট করতো। সোমবার রাতে সে যশপুরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে বিক্ষুদ্ধ জনতা তাকে মারধর করে একটি হাত কেটে দেয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ মঙ্গলবার বিকেলে নতুন কুমিল্লাকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
