কুমিল্লায় গভীর রাতে মা-বাবার পাশে ঘুমন্ত অবস্থায় চুরি হওয়া শিশু মাসুদুর রহমানকে (১১ মাস) পাশ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার কেশতলা থেকে ২৪ ঘন্টার পর উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার মধ্যরাতে শিশুটির নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার কেশতলা গ্রামের রাস্তার পাশের একটি মসজিদের পেছন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন মা-বাবা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাত আড়াইটায় নিজ বাড়ী থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার কেশতলা গ্রামের রাস্তার পাশে মসজিদের পেছনে একটি শিশুর কান্না-কাটির শব্দ পেয়ে মসজিদের ইমাম স্থানীয়দের খবর দেয়।
এ সময় আশপাশের লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসে। রোববার আদালতের মাধ্যমে মা-বাবার নিকট শিশুটিকে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন>>> অবশেষে চৌদ্দগ্রামে কবরস্থানে রেখে যাওয়া বৃদ্ধার ঠাই হলো আশ্রয়কেন্দ্রে
এলাকাবাসী আরো জানায়, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্রীয়াং দক্ষিণ পাড়ার রাজন ভূঁইয়া বাড়ির শফিকুর রহমান ও স্ত্রী সালমা বেগম শিশুটিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গত শনিবার ভোর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা চোর কৌশলে ঘরের দরজা খুলে মা-বাবার পাশ থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে সন্তানকে না পেয়ে মা-বাবা চিৎকার-কান্নাকাটি করতে থাকে।
এসময় বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। আশপাশের ঘরে খোঁজাখুঁজির পর এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়। সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (লাকসাম সার্কেল) ইমরান রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী গত শনিবার রাতে লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের আর কোনো সন্তান নেই। একটি সন্তানের আশায় তারা ধর্না দিয়েছেন ডাক্তার-কবিরাজ, ফকির-দরবেশসহ নানা চিকিৎসালয়ে। বহু চিকিৎসার পর অবশেষে ১১ মাস পূর্বে তাদের কোলজুড়ে মাসুদুর রহমান নামে একটি পুত্র সন্তান আসে। ।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নিজাম উদ্দিন নতুন কুমিল্লা.কমকে জানান, চুরি হওয়া শিশুটিকে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশে একটি মসজিদের পেছন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে মা-বাবার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
