কুমিল্লা
শনিবার,১৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

কুমিল্লায় মশা মারতে আরো ১৮টি ফগার মেশিন

মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের আতঙ্ক এখন দেশ জুড়ে। কুমিল্লাতেও ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন অনেকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফগার মেশিন কেনার কথা ভাবছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)।

মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মশা মারার জন্য মাত্র ৯টি ফগার মেশিন রয়েছে। তাই আরও ১৮টি ফগার মেশিন কেনা হবে বলে জানায় কুমিল্লা সিটি কপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন>>> কুমিল্লায় ইমানিয়া ও ডায়না বেকারিকে জরিমানা

এখন পর্যন্ত কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৮৮ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৬২ জন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৯২৬ জন।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ড. মুজিবুর রহমান নতুন কুমিল্লা.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন>>> কুমিল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কুসিকের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করেন কুমিল্লার নাগরিক সমাজ। নগরীর বাসিন্দা জিএম সিকান্দার বলেন, ‘কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তুপ। পানি জমে থাকে। এতে ডেঙ্গুসহ নানা রোগ ছড়াতে পারে।

কোনও সমস্যা সৃষ্টি হলে তা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। তবে রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করলে ডেঙ্গুসহ নানা ব্যাধির আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকা যায়। পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে।’

আরও পড়ুন>>>কুমিল্লায় বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মনজুর কাদের মনি নতুন কুমিল্লা.কমকে বলেন, ‘কাউন্সিলর আর মেয়র একা কিছু করতে পারবে না। এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। আমাদের আরও কিছু ফগার মেশিনের প্রয়োজন আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চারটা স্প্রে মেশিন কিনেছি। নিজের ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়া নতুন কুমিল্লা.কমকে বলেন, ‘আমাদের ৯টি ফগার মেশিন রয়েছে। আরও ১৮টি ফগার মেশিন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা চাই প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ফগার মেশিন থাকুক। তবে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণের স্প্রে মেশিন রয়েছে।’

আরও পড়ুন>>> চৌদ্দগ্রামে বর্ডার হাটের স্থান পরিদর্শনে বাংলাদেশ-ভারতের প্রতিনিধি দল

কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু নতুন কুমিল্লা.কমকে জানান, ‘২৫ থেকে ৩১ জুলাই নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মশক নিধন কমিটি করা হয়েছে।

এছাড়া কাউন্সিলররা প্রতি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন। সারা বছর ধরে আমাদের মশক নিধন কর্মসূচি চলবে।’

আরও পড়ুন