কুমিল্লা
শনিবার,১৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

কুমিল্লায় এলজিআরডিমন্ত্রী:

‘পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছেন সোনার বাংলা গড়ার। আজকের বাংলাদেশ পরিচালনা করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী বুকের তাজা রক্ত আর দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতেরর বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। নির্যাতিত বাঙ্গালী জাতি পেয়েছে স্বাধীনতা।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের জন্য বহু কষ্ট করেছেন। বারবার কারাবরণ ও নির্যাতিত হয়েছেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ায় পর ১৯৭২ সালের সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার জন্য কাজ শুরু করেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে তিনি যেই উন্নয়ন করেছেন, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এরপর ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতিকে হতাশার মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছিলো।

আর পুরো জাতির মধ্যে নেমে এসেছিল শোকের ছাড়া। তবে দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে পিতার মতোই দেশের জন্য কাজ শুরু করেছিলন। তার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ, উন্নত বাংলাদেশ।

নিজ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। আমার নির্বাচনী এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জেরও ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। অভিষ্যতেও আরো ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান নিয়ে এলজিআরডিমন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে অামি দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। তখন আমি পায়ে হেটে ভারতের কাঠালিয়া এবং বড়মুড়া ক্যাম্পে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম।

আমরা সেই সময় শ্লোগান দিতাম ‘জিন্দাবাদে লাথি মারো, জয় বাংলা কায়েম করো’। তবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জয় বাংলা শ্লোগানকে অমর্যাদা করা হয়েছিল। এখন অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। মহামান্য হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন ‘জয় বাংলা’ আমাদের জাতীয় শ্লোগান। ‘জয় বাংলা’ এখন বাঙ্গালী ও স্বাধীনতার শ্লোগান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সোহেল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো.আমিরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.কামাল হোসেনস, থানার ওসি মেঝবাহ উদ্দিন ভূইঁয়াসহ দলীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক, প্রশাসনিক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, এর আগে ওইদিন সকালে জেলার লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পায়রা উড়িয়ে বিজয় দিবসের উদ্বোধন করেন এলজিআরডিমন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম এমপি। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইঁয়া উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন